Monday, October 7, 2013

কলম্বী ( কলমী ) শাকের গুনাগুনঃ


১. গুরুতরভাবে আফিং- এর বিষক্রিয়া দেখা দিলে- ছটাক খানেক কলমী শাকের রস খাইয়ে দিলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে।

২. শিশু পোষনের জন্য- যতটুকু দুধ দরকার ,মায়ের তা না থাকলে সকালে এবং বিকেলে ৩/৪ চা চামচ মাত্রায় কলমী শাকের রস একটু ঘি দিয়ে খেলে মাতৃস্তন্যে দুধ বাড়বে ।

৩. বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে-
বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে কলমি শাকের গুন অনেক । বসন্তকে যদি দুরে রাখতে চান, তাহালে প্রতিদিন বাড়ির সকলকে ২ চা চামচ কলমী শাকের রস গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে দিন ।

৪. গণোরিয়া জ্বালা- যন্ত্রণা ও পুঁজ পড়ার ক্ষেত্রে- গণোরিয়া হলে এবং সেই সাথে জ্বালা যন্ত্রণা ও পুঁজ পড়া থাকলে, ৪/৫ চা চামচ কলমী শাকের রস অল্প ঘিয়ে সাঁতলে নিয়ে সকালে - বিকালে অন্তত সাতদিন খান। এতে জ্বালা- যন্তনা যেমন বন্দ হবে , পূজ পড়া ও তেমনি কমে যাবে।

৫. কোলের শিশু দিনে ঘুমিয়ে রাতে জাগলে- অনেক সময় শিশুর মল কঠিন হয়ে গেলে এমনটি হয়। এ খেতে ঈষৎ গরম দুধের সঙ্গে ২০ বা ২৫ ফোঁটা কলমীশাকের রস শিশুকে খাওয়ান । দেখবেন এতে করে খুব ভাল ফল হবে।

৬. বোলতা, ভীমরুল বা মৌমাছি কামড়ালে- এদের কামড়ে প্রচন্ড যন্তনা হতে থকলে কলমী বেটে হুল ফোটাবার জায়গায়/ ক্ষত স্থানে লাগান কলমীর ডগা ঘষে দিলেও বেশ ভাল আরাম পাবেন।

৭. স্তনে দুধ বসে গেলে- কলমী বেটে অল্প গরম করে স্তনে লাগান এবং কলমী শাকের রস দিয়ে ধুয়ে দিন । এতে বসা দুধ পাতলা হয়ে নিঃসরনের সুবিধে হবে এবং যন্ত্রণাও কমে যাবে ।

0 comments:

Post a Comment

 
Copyright © . ডাক্তারের পরামর্শ - Posts · Comments
Theme Template by BTDesigner · Powered by Blogger