আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে নানা প্রসাধনসামগ্রী ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে
আছে। নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পুরুষ ও নারী উভয়ই নানা ধরনের
কসমেটিকস ব্যবহার করে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস ব্যবহারের
ফলে ত্বকে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া। ত্বকের উপরিভাগে দেখা
দেয় ইরিটেশন, ত্বকে বের হয় লাল লাল গোটা, চাকা ইত্যাদি। কিছু কিছু
প্রসাধনসামগ্রী, বিশেষ করে রঙিন প্রসাধনীতে থাকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক
কেমিক্যাল যা থেকে শরীরে হয় বিভিন্ন রকমের অ্যালার্জি।
লিপস্টিক,
নেইলপলিশ, ক্রিম, লোশন, পাউডার, মেকআপ, পারফিউম, কাজল ইত্যাদি যেকোনো
ধরনের প্রসাধন থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। ঘন ঘন ত্বকে ব্লিচ করলে বা মাথায়
কলপ দিলেও অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু সুগন্ধি সাবান থেকেও
অ্যালার্জি হয়। শ্যাম্পুর অতিরিক্ত ব্যবহার চুল তো নষ্ট করেই সাথে মাথার
ত্বকে অ্যালার্জিও সৃষ্টি করে। বিভিন্ন শেভিং ক্রিম, ফোম এমনকি আফটার শেভ
থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে।
ত্বকে অ্যালার্জি দেখা দিলে প্রথমত যে
কসমেটিকসের কারণে অ্যালার্জি হয়েছে সেটার ব্যবহার তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দিতে
হবে। ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে অ্যালার্জি না কমে গেলে দ্রুত ডাক্তার দেখাতে
হবে।
লক্ষণ :
*ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেয়। স্থানবিশেষে ফুলেও যায়।
*অকারণেই ঠোঁট চুলকাতে পারে। ঠোঁটের ধার ঘেঁষে দানা দানা উঠতে পারে। অনেক
সময় ঠোঁট বা ঠোঁটের আশেপাশে সাদা সাদা দাগ দেখা দিতে পারে।
*ত্বকে নানা রকম ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
*ত্বক খসখসে হয়ে যায়। ত্বকে ছোপ ছোপ কালো দাগ দেখা দেয়।
*চোখ অকারণে চুলকাতে থাকে। চোখ লাল হয়ে যায়, পানি পড়ে।
*নখ ভঙ্গুর হয়ে যায়। নখের চারপাশে সাদা দাগও দেখা দিতে পারে।
*মাথা অস্বাভাবিক ভাবে ঘামতে থাকে।
লক্ষণ দেখে ডাক্তাররা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। কয়েক রকম রক্ত পরীক্ষা
ও স্কিন টেস্ট করার পর নিশ্চিত হয়ে ডাক্তাররা পরামর্শ ও ওষুধ দিয়ে
থাকেন।
প্রতিরোধের উপায় :
*কসমেটিক ব্যবহারের আগে নিশ্চিত হোন যে এটা আপনার ত্বকের উপযোগী কিনা।
*উত্পাদনের তারিখ ও মেয়াদের সীমা দেখে প্রসাধন কিনুন।
*নতুন প্রসাধনী ব্যবহারের আগে দুই তিনদিন কানের পেছনের ত্বকে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন।
*যাদের লিপস্টিকে অ্যালার্জি আছে তারা প্রসাধনের আগে ডার্মাশিল্ড লাগিয়ে নিন।
*কাজলে অ্যালার্জি থাকলে কাজল পরুন চোখের মণির সংস্পর্শ এড়িয়ে।
*যাদের ত্বক স্পর্শকাতর তারা হালকা, স্নগ্ধ প্রসাধন ব্যবহার করুন।
*যতটা সম্ভব নেইলপলিশ এড়িয়ে চলুন। কারণ নেইলপলিশ থেকে সহজেই অ্যালার্জি ছড়িয়ে পড়ে।
*চেষ্টা করুন মেকআপ করে খুব বেশিক্ষণ না থাকতে।
*ঘন ঘন চুলে পামিং বা স্টিমিং করাবেন না।
*ওয়াটার প্রুফ মেকআপ ব্যবহার করবেন না।
লক্ষ্য রাখুন :
*সিল বন্ধ আছে এমন প্রসাধন সামগ্রী কিনুন। অবশ্যই মেয়াদ দেখে নেবেন।
*কম দামী প্রসাধন এড়িয়ে চলুন।
*অনেক দিন ধরে রেখে দেয়া বা ব্যবহার করা হয় না, এমন কসমেটিকস ব্যবহার করবেন না।
*সুগন্ধি নয় এমন সাবান, শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। যত বেশি সুগন্ধ তত বেশি ক্ষতিকর।
*রোদে বের হবার আগে ভালো ব্যান্ডের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
*অ্যালার্জি থাকলে অ্যালার্জি বেড়ে যাবে এমন খাবার খাবেন না।
*গাঢ় রঙের লিপস্টিক যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন।
*প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করবেন। মেকআপ করা থাকলে
তা অবশ্যই তুলতে ভুলবেন না। বিশেষ করে চোখের মেকআপ ভালো ভাবে পরিষ্কার
করবেন।
ফেসবুকের নিয়ম অনুসারে পেইজ এর পোস্ট এ নিয়মিত লাইক, কমেন্ট না করলে ধীরে ধীরে পোস্ট আর দেখতে পাবেন না। তাই পোস্ট ভাল
লাগলে লাইক দিয়েশেয়ার করে পেজে একটিভ থাকুন।
Home » ত্বকের যত্ন » সতর্ক থাকুন প্রসাধনের অ্যালার্জি থেকে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment